পোশাকে হিপ্পি স্টাইল

আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান তবে আপনি জানতে পারবেন যে হিপ্পিদের প্রথম উল্লেখ গত শতাব্দীর শুরুতে ঘটেছিল।

এই ধারণার অর্থ বুঝতে, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে পারি হিপ্পি হল সেই সমস্ত ব্যক্তি যারা ঘটনার কেন্দ্রে থাকার চেষ্টা করে, তারা তাদের জীবন বিশ্বাসকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করে, সত্য এবং স্বাধীনতার সন্ধান করে, কিন্তু শান্তিপূর্ণ উপায়ে।

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, হিপ্পি প্রবণতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মানুষ প্রকৃতির সাথে পুনরায় মিলিত হতে চেয়েছিল, তারা কেবল সমাজে নয়, তাদের নিজের আত্মায়ও শান্তি, মঙ্গল এবং সম্প্রীতি অর্জন করতে চেয়েছিল।

জীবন সম্পর্কে অ-মানক এবং অদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াও, এই শৈলীর অনুগামীরা উজ্জ্বল এবং রঙিন পোশাকে তাদের চারপাশের লোকদের থেকে আলাদা। এটি প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন লিনেন, তুলা, ক্যামব্রিক নিয়ে গঠিত।

একটি বিচিত্র, অসাধারণ টি-শার্ট পুরুষ এবং মহিলাদের উপযুক্ত।

এটি অঙ্কন, শিলালিপি এবং স্লোগান চিত্রিত করেছে।

প্রতিটি হিপ্পি মেয়ের পোশাকে লম্বা পোশাক এবং স্যান্ড্রেস ছিল। তাদের অধীনে কোন অন্তর্বাস ছিল না, কারণ যুবতীরা স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিল।

এই জীবনধারার কোন সীমাবদ্ধতা নেই, এখানে প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব অনন্য ইমেজ তৈরি করতে পারে।

উদ্দীপ্ত জিন্স ফ্যাশনেবল এবং আড়ম্বরপূর্ণ বলে মনে করা হত।. তাদের উপর আকর্ষণীয় এবং আসল অঙ্কনগুলি চিত্রিত করা হয়েছিল, যা শুধুমাত্র আনুষাঙ্গিক ব্যবহার করা হয়নি: জপমালা, লেইস, জপমালা।

আমরা যখন হিপ্পিদের দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে তাদের ছবিতে অনেকগুলি অবিস্মরণীয় জিনিসপত্র রয়েছে।

• বহু রঙের বাউবল। তাদের উত্পাদন জন্য ফিতা, জপমালা, জপমালা ব্যবহৃত। এই ধরনের একটি ব্রেসলেট বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হত।

• স্ক্রু-ইন কানের দুল শুধুমাত্র পুরুষদের দ্বারা পরিধান করা হয়।

• শান্তি প্রতীক কাপড়, ব্যাগ এবং বেল্টে চিত্রিত।

• উজ্জ্বল গলা শুধুমাত্র ঘাড়ের চারপাশে নয়, বেল্ট বা হাঁটুতেও পরা।

• লম্বা পুঁতি বেল্টের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।

• বাড়িতে তৈরি সজ্জা.

• রঙের সমস্ত বৈচিত্র্য সত্ত্বেও, হিপ্পি জুতা বিচক্ষণ চয়ন, প্রায়ই এটি বোনা স্যান্ডেল ছিল.

• হিপ্পিরা তাদের পিঠে ব্যাকপ্যাক পরত, এবং কাঁধের উপরে - লম্বা হাতল সহ একটি ব্যাগ।

• সানগ্লাস সবসময় রঙিন লেন্সের সাথে থাকে।

• মেয়েদের মেকআপ ছিল আকর্ষণীয় এবং উজ্জ্বল।

প্রতিটি উপসংস্কৃতি, এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে, শুধুমাত্র এই দিকটির জন্য স্বতন্ত্র এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হিপ্পি, অ-মানক জামাকাপড় এবং বিপুল সংখ্যক আনুষাঙ্গিক ছাড়াও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

দাড়ি. এই সম্প্রদায়ের অংশ যারা দাড়ি পরেন, তারা যীশু খ্রিস্টের মতো হতে চান।

পরিভাষা. হিপ্পি শৈলী দ্রুত বিকাশ লাভ করে এবং এর সংস্কৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কথোপকথন বক্তৃতায়, ধার করা ইংরেজি শব্দগুলি স্পষ্টভাবে শোনাত। উদাহরণস্বরূপ, "বোল্ট" একটি বোতল, "খের" হল চুল, "কসিভিনিক" একটি চামড়ার ব্যাগ।

সঙ্গীত. হিপ্পিরা নিপুণভাবে এবং দক্ষতার সাথে সঙ্গীতের বিভিন্ন শৈলীকে একত্রিত করেছে: রক, ব্লুজ, লোকজ। তারা এই ধরনের দিকনির্দেশগুলিকে ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছিল, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা যুক্ত করেছিল এবং তাদের নিজস্ব সংগীত "মাস্টারপিস" পেয়েছিল। Grebenshchikov একটি গার্হস্থ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং প্রিয় হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিনোদন। এই দিকের অনুগামীরা সবকিছুতে স্বাধীনতা পছন্দ করে।

তারা কখনও কখনও মদ এবং বন্দরে নিজেদেরকে লিপ্ত করে, প্রায়শই নরম ওষুধ ব্যবহার করে।

ভিউ হিপ্পিরা সাধারণ বিশ্ব থেকে আলাদাভাবে বিদ্যমান, তারা তাদের নিজস্ব নিয়ম এবং আইন অনুসারে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত।

সবচেয়ে জনপ্রিয় হিপ্পি ঐতিহ্য এক বিবেচনা করা হয় "রামধনু সংগ্রহ"

1972 সালের 4 জুলাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যে অবস্থিত টেবিল মাউন্টেনে এই উপ-সংস্কৃতির হাজার হাজার অনুসারী লক্ষ্য করা যায়। তারা এক ঘণ্টা ধরে হাত ধরে ধ্যান করেন।

ঐতিহ্য জনপ্রিয় হয়েছে, এটি প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

• আন্দোলন যা আধ্যাত্মিক শিক্ষার সাথে যুক্ত ছিল- যোগব্যায়াম, ধ্যান, হলোট্রপিক শ্বাস প্রশ্বাস।

• একটি আন্দোলন যা পরিবারকে একত্রিত করে এবং একত্রিত করে।

• পরিবারের নতুন ফর্ম গঠন, যেমন বয়স্কদের কমিউন, শিশুদের সাথে একক পিতা, সুইডিশ সংস্করণ।

• ফ্যাশনের উপর প্রভাব, বা এটিকে ডেনিম বিপ্লব বলা হয়। হিপ্পি শৈলী একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্যাশনেবল এবং প্রাসঙ্গিক হয়েছে।

এই উপসংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল এবং স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব একজন সঙ্গীতজ্ঞ জন লেনন. তিনি দ্য বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে ওঠেন, যার গান শান্তি ও মঙ্গলের সাথে যুক্ত ছিল।

এছাড়াও, একটি পার্থক্য করতে পারেন জর্জ হ্যারিসন, তিনি গোষ্ঠীর কাজে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন, যা তিনি পূর্বের দেশগুলি থেকে নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন কর্মে অংশগ্রহণকারী ছিলেন, দাতব্য কনসার্টের সূচনাকারী।

হিপ্পির মতো একটি উপ-সংস্কৃতির আবির্ভাবের সাথে সাথে এই সম্পর্কে বিশ্বে বিভিন্ন মতামত উঠতে শুরু করে। কেউ কেউ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল, এই চেহারা এবং জীবনযাপনের পদ্ধতিটিকে খুব অবাধ্য এবং অযৌক্তিক বলে মনে করেছিল।

অন্যরা, ঘুরে, এই প্রবণতা সমর্থন. শান্তি ও ন্যায়বিচার, মঙ্গল ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মানুষকে এই উপসংস্কৃতির অনুগামীদের অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

এখন হিপ্পিরা এত জনপ্রিয় নয়, কিন্তু বিশ্বের কিছু অংশে, যে সম্প্রদায়গুলি জীবনকে ভালবাসে এবং উপলব্ধি করে তারা এখনও বেঁচে আছে।